img

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এক হাজার ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন হয়েছে।  বেশির ভাগ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ হেরে গেছে। এতে বোঝা যাচ্ছে তাদের পতন শুরু হয়ে গেছে।

আজ মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেছেন, তৃতীয় ধাপে এক হাজার ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন হয়েছে। বেশির ভাগ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ হেরে গেছে। এ থেকেই প্রমাণ হয় যে আওয়ামী লীগের পতন শুরু হয়ে গেছে।

ফখরুল বলেন, এই সরকারকে সরাতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বিশেষ করে তরুণসমাজ ছাত্র-ছাত্রী ও যুবসমাজকে। কারণ এই দেশে যত আন্দোলন, এর সবগুলোর সফলতা এসেছে এই তরুণ ছাত্র ও ছাত্র-যুবসমাজের মাধ্যমে। তাই খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হলে এবং আন্দোলন বেগবান করতে হলে তরুণসমাজ ও যুবসমাজকে সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে।

এ সময় তিনি বলেন, আজকে আমাদের সমাবেশে লাখো জনতার ঢল নেমেছে। এই জনতার ঢল দেখেই বোঝা যাচ্ছে, খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো না হলে এ দেশের জনগণ চুপ করে বসে থাকবে না। এই উত্তাল তরঙ্গের মধ্য দিয়ে এই অবৈধ সরকার, ভোট ডাকাতির সরকারকে উৎখাত করব এবং দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব।

সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য, ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য, দেশনেত্রীর মুক্তির জন্য তরুণ-যুবকদের জেগে উঠতে হবে। তরুণ-যুবকদের ছাড়া এ দেশে কোনো আন্দোলন হয়নি। অবশ্যই এ সরকারকে সরাতে হবে। একটি নিরেপক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। দেশনেত্রীকে মুক্তি দিতে এ সরকাকে বাধ্য করা হবে।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান, বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান শাজাহান ওমর, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তৈমূর আলম খন্দকার, আবদুস সালাম ও যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবীর খোকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর